কোন স্পেশ্যাল / স্ট্রিক্ট ডায়েট ফলো করতে গিয়ে রান্না ঘরের সেটআপ কি বদলানো সম্ভব?
বাসায় সবার জন্য এক খাবার আর আপনার একার জন্য আলাদা খাবার ব্যবস্থা কত দিন করা সম্ভব?
এর চেয়ে সাভাবিক খাবার এর মধ্যে থেকেই ওজন কমানো গেলে কি ভালো হয় না?
হ্যা, এটাও ঠিক যে ওজন একবার বেড়ে গেলে তার খাবারের ডিমান্ড অন্যদের থেকে আলাদা হবেই এবং সেই ওজন কমানোর জন্য ডায়েট প্ল্যানিং করার দরকার হতে পারে। কিন্তু সেটা যদি এমন কিছু হয় –
– যা স্বতঃস্ফূর্তভাবে আনন্দ নিয়ে দীর্ঘ দিন ফলো করা যায় না
– যা ফলো করলে ভবিষ্যতে অন্য জটিলতা তৈরি হতে পারে
– যা সার্বিকভাবে লাইফ স্টাইল বদলাতে খুব একটা সাহায্য করেনা, কেবল সাময়িক রেজাল্ট দেয়
তাহলে সেই ডায়েট কি ফলো করা উচিৎ?
মনে রাখা দরকার যে, “অতিরিক্ত ওজন” অনেক রোগের কারণ হতে পারে, কিন্তু এটা নিজে কোন রোগ না। তবে এই “অতিরিক্ত ওজন” শর্ট-কাট ফর্মুলায় রাতারাতি কমাতে গেলে সেটাই কোন জটিল রোগের জন্ম দিতে পারে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষণা অন্তত সেকথাই বলে।
আবার সস্তায় বঙ্গবাজার/নিউ মার্কেটে টিশার্ট কিনতে গিয়ে হয়তো কখনো শুনেছেন যে, “ফ্রি সাইজ, যেকেউ পড়তে পারবে।”
কিন্তু বাস্তবে কি সেটা হয়?
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হয়না। কোনরকমে টিশার্ট গছিয়ে দিয়ে আপনার পকেটের টাকা হাতিয়ে নেয়াই বিক্রেতার উদ্দেশ্য। দুই-একবার ওয়াস করার পর অনেক সময় সেটা আপনার চেয়ে ছোট কিংবা বড় কাউকে দিতে হয়, বা ফার্নিচার মোছার কাজে লাগে।
এমনটা হবার কারণঃ একদিকে কাপড়ের খারাপ কোয়ালিটিতো আছেই, আর অন্যদিকে সেই টিশার্ট আপনার বডির মাপ অনুযায়ী বানানো হয়নি।
ওজন কমানোর ক্ষেত্রে ডায়েটের বিষয়টা প্রায় একই ভাবে কাজ করে। যেই ডায়েট গণহারে সবাই ফলো করতে পারে, সেটা আসলে বিজ্ঞান সম্মত না এবং নিরাপদও না। কারণ প্রতিটা মানুষ ভিন্ন, তাই তার খাবারের চাহিদাও ভিন্ন হবে এটাই সাভাবিক। একারনে আমরা “One size for all” টাইপের ডায়েট প্ল্যান না দিয়ে বরং প্রতিটি ক্লায়েন্টের বডি টাইপ, পরিশ্রম করার সক্ষমতা/পরিমান এবং শরীরের ডিমান্ড অনুযায়ী ডায়েট প্ল্যান তৈরি করে দিই বা তৈরি করতে সাহায্য করি যেটা তাকে সাভাবিক খাবারের মাধ্যমেই ওজন কমাতে এবং ধীরে ধীরে লাইফ স্টাইল পরিবর্তন করতে সাহয্য করে। আমরা বিশ্বাস করি, সাভাবিক ঘরোয়া খাবারের মাধ্যমেই ওজন/বডি ফ্যাট কমানো এবং নিয়ন্ত্রনে রাখা সম্ভব। দরকার শুধু একটু ধৈর্য।